মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া বাজারে অবস্থিত হাজী ইদ্রিস মুন্সি শিশু সদনের উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন শেষে তিনি এতিমখানায় অবস্থানরত শিশুদের খোঁজখবর নেন এবং এতিমখানা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি অত্র এতিমখানার দীর্ঘ দিনের নামজারি নিয়ে একটি সমস্যার সমাধান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘদিনের এই এতিমখানাটি সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই এতিমখানা নিয়ে কেউ যাতে কোন প্রকার বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনারা লক্ষ্য রাখতে হবে কেই যেনো কোন প্রকার অপশক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই এতিমদের প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি হননের চেষ্টা করতে না পারে। আপনারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নাহিদ ইসলাম, গাজীপুর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রিফায়েত উল্লাহ শরীফ, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু, কৃষকলীগের সভাপতি আবু তাহের প্রধান, ইউপি সদস্য মিন্টু মিয়াসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান শেষে হাজী ইদ্রিস মুন্সি শিশু সদনের সভাপতি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদ ইঞ্জিনিয়ার একেএম আব্দুল মোতালেব কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে শিশু সদনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমার পরিবারের কিছু সদস্য প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে এতিমখানা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ করে এতিমখানার উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থার উন্নতি, থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা ও পড়াশোনার মানোন্নয়নে কাজ করছি। ভবিষতেও এই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সাংবাদিক, প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।