“প্রার্থনা”
২
জীবনের খেসারত দিতে দিতে সূর্য পেরিয়ে পোড়াবাড়ির মতো দাঁড়িয়ে আছি,
জীবনের সজীব কচিপাতার রং এখন বিবর্ণ মচমচে শুকনো পাতা।
বাতাসের উল্টো পথে গতিসীমা – মানুষ ছিলাম কবে ভুলে গেছি তার অস্তিত্ব আমাতে আর নেই,
আসলে পঁচা বিবেকের তাড়নায় হয়তো মানুষ ভাবা নিজেকে ভুল।
যদি পিছনের ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে সংশোধন করা যেতো জীবনের ধ্বংস লীলা খেলা -আমি আর মানুষ হতে চাইতেম না,
পারিজাত পাখির মতো চাইতাম একটা উন্মুক্ত জীবন – ইচ্ছার ডানা মেলে উড়তাম নীল দিগন্ত জুড়ে।
আর মুচকি হেসে বলতাম মনুষ্য সত্তা- নিপাত যা- ওসব রোজ এঁটে দেয়া দুঃখ গুলো আমায় পোষায় না,
কিন্তু আমার ভেতর তোমাকে নিয়ে বারবার বাঁচার আকুতি ঝর্নার মতো প্রবাহিত হয়- মানুষের প্রেম – ভালোবাসা খুব টানে সম্মোহনী আকর্ষণে- আমি বিধাতার কাছে আবার প্রার্থনায় মগ্ন হই -মানুষ হয়ে তোমাকে ভালোবাসার বন্ধনে আঁকড়ে ধরবো বলে।