কি হবে কবিতা লিখে!
— স্বপন বারুই
তারিখ–১২/৬/২২
বলি কি হবে কবিতা লিখে
কয়েকশো ডোজন ডোজন
কবিতা পড়ে বলো তুমি
নিজেকে শুধরেছে বা ক’জন!
টিভি খুললেই দেখা যায়
হয়েছে নারী ধর্ষণ
পুরুষরা বলে নাকি পোশাকই
করে আমাদের আকর্ষণ।
বলি কি হবে কবিতা লিখে
কয়েকশো ডোজন ডোজন
পোশাক নয় রে ভাই
আগে মন করো পরিবর্তন।
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হচ্ছে খুন
নিজেদের কাম মেটাবার তরে
ভ্রুন হত্যা হল মহাপাপ
তবুও মানুষ যাচ্ছে করে।
বলি কি হবে কবিতা লিখে
নিজেকে শুধরেছে বা ক’জন
ধৈর্য সহ্য ঐশ্বর্য বীর্য যার আয়ত্বে
প্রকৃত মহাপুরুষ সেজন।
দুই ঘন্টার পথ এক ঘন্টায়
রবি ঠিক যাবে পৌঁছে
কিছুক্ষণ পরে খবর এলো
পথের মাঝে দেহ ত্যাগ করেছে।
বলি কি হবে কবিতা লিখে
নিজেকে শুধরেছে বা ক’জন
শুধু তোমারই ভুলের কারণে
মৃত প্রায় আজ তিনজন।
আমি অপারক এক কবি
কাউকে শুধরাতে পারিনি
চেষ্টায় আছি আমি অবিরাম
হাল তো ছাড়িনি।
——————————————–
আমাকে নিয়ে
——————–
আমার নিজের লেখা
মোঃ ই ম ন মি জি
আমাকে নিয়ে আমার চারপাশের লোকজন ঠাট্টা করে দিনমান,
গরুর জাবর কাটার মতো জাবর কাট কেন,এগুলো লিখে
পাও কি কোন অর্থ ও সন্মান ?
খালি খালি সময় নষ্ট করে কি লাভ?
কাজে কর্মে লিপ্ত হয়ে যাও তুমি বলে বিসমিল্লাহ,
আমি বলি দোয়া করে আপনারা
কর্ম হবে পেশাও হবে অতি দ্রুত ইনশাআল্লাহ।
আমি বলি এটা আমার পেশা নয়, নেশা আমার মনের আবেগ
তাই লেখালেখি করি সকাল সাঁঝে,
চোখের সামনে যা ভালো লাগে তাই তুলে ধরি আপনাদের মাঝে।
সাজিয়ে ফুলের তোড়া কবিতায় বসিয়ে দেই
মন ভালো থাকে আমার সময় কাটে ভালো,
নিজে কে দেখতে পাই
বাক্যে ছন্দের মিলে কবিতায় ছড়ায় আলো।
প্রকৃতিতে ভরা সৌন্দর্য দেখতে পাই, মানুষের সুখ দুঃখ হাসি
সবুজ শ্যামল মাটির বুকে প্রকৃতি দেখতে ভালোবাসি।
রেললাইনের পাশে কুঁড়ে ঘর ভাঙা চালে বাস করে
ক্ষুধার্ত অনাহার পথশিশু,
তাদের জন্য মন কাঁদে আমার
কি করব ভেবে পাইনা কিছু।
মাঠে খাটা দিন মজুর কৃষকের
মাঝে আমি দেখতে পাই অলৌকিক শক্তি,
সালাম জানাই তাদের জানাই তাদের মন ভরে শ্রদ্ধা ভক্তি।
01911421260 01777000288
শ্যামকুড়, মহেশপুর ঝিনাইদাহ বাংলাদেশ।।
——————————————–
কবিতা ।।
অনাবৃত পৃথিবী
।। গণেশ পাল ।।
চাঁদের গৃহস্থালিতে জলছবি যখন
তৃষিত জ্যোৎস্নার শিহরণে চোরকাঁটা ,
অধরে অধরে জলস্রোতের শব্দশ্লোক
সহসা একতারায় বাঁধে গাজন আমাদের ।
কখনো কখনো অনাবৃত পৃথিবীতে দেখি ,
চাঁদের উপছায়ায় অপ্সরারা কেন
আত্মহত্যা করে কে বলতে পারে ?
তবু অন্ধকারে কদম ছোঁয়ায়
গ্রত্থিত জীবন আমাদের যেন
জীবনের জন্য অনাবৃত কী এক পৃথিবী ?
অথচ এই পৃথিবীতে রয় আরেক
কী এক জীবন অতঃপর ?
: ১২/০৬/২০২২
——————————————–
“মধুগন্ধের মধুমাস”
——রেশমা বেগম
১২.৬. ২০২২ ইং
মধুমাস জ্যৈষ্ঠ বিদায়ের সুরধ্বনি তুলেছে
মধুগন্ধের মোহ আভিজাত্যে মন ভরেছে,
ফলনশীল আবাদে গাছে মৌসুমী ফলের
বাহারি দৃশ্যে রসনা সুখেতে তৃপ্তি মজেছে।
মধুগন্ধী ফলের স্বাদে জ্বিহব্বা-নাসিকা অস্থির
মন মানেনা পরিসমাপ্তির ক্ষণকালে গম্ভীর ,
জৈষ্ঠমাস বাড়ি ফিরবে,আগমনের স্বীকারোক্তিতে
গ্রীস্মে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তায় প্রাণ চৌচির।
তাপদাহে অতিষ্ঠ মনোভরে জৌলুশী শরবতে
অধির আঁখি স্থির’ ঝুড়িভর্তি মধুগন্ধী ফলে,
জাতীয় ফল কাঁঠাল,আম-জাম কত কি নাম
মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছি ভনভনিয়ে চলে।
মামাবাড়ি মধুর-হাড়ি জৈষ্টের ফলে অহংকারী
দাওয়াতের কৌলিন্য প্রকাশ্যে গ্রামের-বাড়ি অহর্নিশি,
মধুমাসে রসনা বিলাসে গাছের নিচে ঘোরাঘুরি
গ্রাম্য বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আত্মিক প্রীতি।
প্রকৃতির ষড়ঋতুর দেশ আমার বাংলাদেশ
সৃষ্টিকর্তার অপার-মহব্বত মৌসুমী ফলের আরম্ভর,
গ্রীস্মে তপ্ত দেহ-মনে শান্তি আনে মধুগন্ধী ফল
কিসমতের সৌভাগ্য নির্ধারণে দয়াময় সম্বল।
ঢাকা, বাংলাদেশ।
——————————————–
সুখের অপেক্ষায়
মোছাঃ-আরজুমা আক্তার
সুখ সেতো দুঃখের বিপরীত
মনের কোণে এসে উঁকি দিয়ে যায়,
একলা ক্ষণে ছবির মতো
ওঠে শুধু ভেসে।
দুঃখে ভরা মনটা যখন
ভালো থাকার চেষ্টা করে
ব্যর্থ হয়ে যায় ওমনি করেই
ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েই
চুপটি করে রই।
সুখের শত্রু দুঃখ যেন
কেন ওদের রেশারেশি
হিসাব কোষী ওদের নিয়ে
কার ভাগটা বেশী।
পারিনি তো ভাগ করিতে
সুখ থেকে দুঃখকে আলাদা করিতে
এই তো এক গোলকধাঁধায় জটিল অসুখ।
সুখের মূলে থাকবে সদা দুঃখ
সময় পরিস্থিতি স্বনির্ভর
বুঝতে হবে মানতে হবে সদাচরণ!
মন খারাপির নেইকো ওষুধ
সময় বলে দেয়,
দুঃখে ভেঙে পড়োনা সবে
থেকো সুখের অপেক্ষায়।
——————————————–
স্মৃতির ফুল
রূপালী রায়
12/06/22
নতুন করে,মন রাঙিয়ে দিল কিছু স্মৃতির ফুল,
মন চঞ্চল হয়েছিল,ছিল সে অবুঝ সেদিন,
অবুঝ মনে করলো বুঝি দিকবেভুল।
বয়সটা ঠিক ছিল সেদিন কৈশোরের,
তখন কি আর মনটা বোঝে কোনো কিছু!
ছলছলিয়ে উঠতো চোখে,জল আবেগের।
লুকোচুরির খেলা ছিল,বেশ আনন্দময়,
চোখ লুকিয়ে, চোখে চোখে ইশারায়,
একটু দেখা, একটু কথায় মন ভরায়।
সেই দেখাতেই, মনে জোয়ার ছলকে যায়,
মনের বনে ফুল্ল মুকুল ফুল ফোটায়,
জুঁই, চামেলী, বেলী ফুল আর হাসনাহেনায়।
মন বাগানে পাখিরা গায়, নানান তালে,
মৌমাছিরাও এসেছিলো মধুর খোঁজে,
ভ্রমর এসে গুনগুনিয়ে,গান শুনিয়ে বসলো ডালে।
ভুল ছিল,কি ঠিক ছিল,ভাবছি বসে মনে তাই,
হলোই বা ভুল, কার আসে যায়!
মনে ফাগুন এলো সেদিন দেখতে যে পাই।
——————————————–