আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে অগ্নিগদ্ধ আমর গেছেন। শুক্রবার রাতে চিকিৎসধিন অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার সকালে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের সূত্রধর বাড়িতে।
সরেজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে অমর চন্দ্র সূত্রধর (২৩) পার্শ্ববর্তী গাজীপুর বাজারে যান। সেখানে তিনি রেস্টুরেন্টে নাশতা করেন। এরপর, বাড়ি যান। সকাল সাড়ে আট ঘটিকা নাগাদ নিজ বসত ঘরে অমরের মা “বাবা কি করছ” বলে চিৎকার করেন ও ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন। চিৎকার শুনে, পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন ছুটে যান। সবাই মিলে, আগুন নেভান। এরপর, অমরকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকা নাগাদ তিনি মারা গেছেন বলে এলাকা সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালা মারা দেখা গেছে। প্রতিবেশীরা বলেছেন, আমরা চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। কিন্তু, ততক্ষণে তার সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে মা’র শরীরের আংশিক পুড়ে গেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে তারা কেউ জানাতে পারেননি। তবে, অমর হয়তো নিজেই গায়ে আগুন লাগাতে পারে বলে আশেপাশের লোকজন মন্তব্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন পাঠান মুঠোফোনে বলেছেন, অমর সূত্রধর গায়ে পেট্রোল ঢেলে নিজেই আগুন লাগিয়েছে বলে শুনেছি। তিনি কিছুটা মানসিক অস্থিরতায় ভূগছিলেন। অমরের বাবা রসরাজ সূত্রধর পেশায় কাঠ মিস্ত্রি। ছেলে অমর চন্দ্র সূত্রধরও কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
এ ব্যপারে, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আর.এম.ও আসিবুর রহমান জানিয়েছেন, অমর সূত্রধরের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার মা’র শরীর সামান্য পুড়েছে। অমরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। অমরের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় তিনি মারা গেছেন।