অনলাইন নিউজঃ
অসুস্থ খালেদা জিয়ার সার্বক্ষনিক খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। বিচারে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে তার দল রাজপথের আন্দোলনে নেমেছে। সরকার বলছে, আইনের আওতায় তা সম্ভব নয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের বাইরে বিএনপি নেতারাও অনেক কথা বলছেন। গুরুতর আশঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে উত্তেজনার পারদ ওপরে উঠছে। সমকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় তরফ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি এ ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য জানার পাশাপাশি সংশ্নিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের কয়েকজন এমন তথ্য জানিয়ে সমকালকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে বর্তমান সরকার বেশ আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এ বিষয়ে মানবতা দেখিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারামুক্তি দিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তার চিকিৎসার দাবি করছে বিএনপি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বলেছেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি খালেদা জিয়ার জন্য যতটুকু করার ছিল, সেটা করেছেন। বাকিটুকু আইনের বিষয়। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গত ১৬ নভেম্বর সংসদে বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরে যেতে হবে। সেইসঙ্গে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন বিবেচনা করে দেখবে সরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার পাশাপাশি সরকারের নীতিনির্ধারক মহল নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে নানামুখী আলাপ-আলোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করছেন।