সকাল
মৃত্যুঞ্জয় সরকার
এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর শব্দে জেগে উঠলাম
চেয়ে দেখি আকাশ খেপেছে,বিদ্যুৎ ঝলকানি,
কানে ভেসে এলো নেপু বোষ্টমীর প্রভাতী হরি সংকীর্তন।
সূর্যস্নাত ভোরে হাঁটা হলোনা আজও..
আমি তো রাঙাতে চেয়েছি তপ্ততার আঁচে
খুঁজেছি আলোর গভীরে দুরন্ত যৌবন
তোমার ঝুমুর পদশব্দে হৃদয়ের তৃষ্ণার্ত বেলাভূমি তট।
বলে ছিলে উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ডে প্রয়াগ সঙ্গম হবে
দেহ মূর্ছণায় সৃষ্টি করবে কালবৈশাখী ঝড়,
শ্বাস প্রশ্বাসে দিয়ে যাবে উষ্ণভ রিপুজ উন্মাদনা
কথা রাখনি।
লজ্জা লাগেনা বলতে আমার আজ
যুগে যুগে আমিই সৃষ্টি করেছি উন্মুক্ত অভিসার
শিঙ্গারের কলা কৌশল সঙ্গম ভাস্কর্যের সূক্ষাতিসূক্ষ ভঙ্গিমা নৃত্য বেহাগ,প্রভাতী উষ্ণায়ণ।
রাতের তপ্ততা ভেদ করে আমি রুদ্র বৈশাখ হয়ে
অগ্নিযুগে ফিরে গেছি বারবার তোমার এলোমেলো হৃদয়ের নাভিতল গহ্বরে, সৃষ্টি করেছি বীর যোদ্ধা, শ্রেষ্ঠা নারী, একী শিঙ্গার সঙ্গম নই?
তবু তুমি কথা রাখোনি,ত্রস্ত লাজুকতায় উন্মুক্ত করেছো সর্বাঙ্গ বারবার তবু দাওনি সূর্যস্নাত ভোরে হৃদয় সুরের প্রয়াগ সঙ্গম আমায়..
আমি অপেক্ষায় থেকে গেছি আজও সূর্যায়নের মুহূর্তে
কথা রাখোনি, অধরাই থেকে গেছে প্রয়াগ সঙ্গম।