আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে পচা-গলা মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ থেকে মাথা আলাদা ছিলো। দেহটি পুরুষ বা নারীর- বুঝা যাচ্ছে না। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ‘ফরিদগঞ্জ সেতু’র গোড়ায় ডাকাতিয়া নদীতে কঙ্কাল সদৃশ দেহ পরেছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ফরিদগঞ্জ থানা ও চাঁদপুর থেকে যাওয়া নৌ-পুলিশ মাথার খুলিসহ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের ওই পাকা সেতুর কাছে বাচ্চারা খেলতে যায়। এ সময়ে তারা মানুষের মাথর একটি গলিত খুলি নদীর পানিতে ভেসে থাকতে দেখে। তাদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। মূহুর্তে শত লোকের ভীড় জমে যায়। খবর পেয়ে বেলা প্রায় ছয়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। নদীতে ভেসে থাকা খুলিটি উদ্ধার করেন। এরপর, পাশে খুঁজে একটি বস্তার সন্ধান পাওয়া যায়। বস্তাটি উদ্ধারের জন্য চাঁদপুর জেলা সদরের নৌ-পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বস্তাটি উদ্ধার করেন। বস্তায় দেহের অন্যান্য অংশ পাওয়া গেছে। তবে, বেশ কিছু ইট দ্বারা ভর্তি ছিলো।
দেহটি নারী বা পুরুষ- তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিন পূর্বে সেখানে দেহ ফেলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে দেহের মাংস গলে গেছে। তবে, নারীগণ ব্যবহার করেন ঘটনাস্থলে এমন একটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। ব্যাগের রং অনেটা খয়েরি বর্ণের। পানিতে পরে থাকায় রং কিছুটা বিবর্ণ হয়েছে। ব্যাগে কোনো আলামত আছে কি না তা জানা যায়নি। কারণ, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ব্যাগটি খোলেনি। এছাড়া, পাশে একটি রাবারের জুতো দেখা গেছে। ব্যাগ ও জুতোর সঙ্গে দেহের কোনো সম্পর্ক আছে কি না- তা এখনও নিশ্চিত না।
ফরিদগঞ্জ থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) বলেছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছে। পোস্ট মর্টেম ও যথাযথ তদন্তের পূর্বে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করা যাবে না। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।