মোঃ হোসেন গাজী।।
হাইমচর উপজেলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুল আলোচিত হত্যাকান্ড গনি মিয়া গাজীর ছেলে মোবারক হত্যা মামলার প্রধান ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে সর্বহমলে প্রশংসায় ভাসছে হাইমচর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।
আটকৃতক আসামী রাজন ও মহন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে হিলি বন্দর থেকে আটক করে হাইমচর থানার ওসির গঠিত একটি বিশেষ চৌকস পুলিশ টিম।আসামীদের আটকের বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করেন হাইমচর থানা পুলিশ। এরপর থেকেই আলোচনায় প্রশংসিত হন হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ থানা পুলিশ প্রশাসন। মোবারক হত্যার ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রধান এই আসামীদের আটক এবং প্রেসব্রিফিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন গনমাধ্যমেও হাইমচর থানার এ সফলতাকে তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর পর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা।
গত ২০ মার্চ শুক্রবার ২ নং উঃ আলগী ইউনিয়ননের ২ নং ওয়ার্ড ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মিজান খানের পুত্র রাজন ও শাহজান ভ’ইয়ার ছেলে মহিনের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে আধিত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধায় রাজন, মহন, সলেমান ও আলাউদ্দিন মহিনের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। ঐসময় মহিনের সাথে থাকা তার বন্ধু মোবারককে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যার পরের দিনই মোবারকের বাবা গনি গাজী বাদী হয়ে রাজন, মহন, সলেমান ও আলাউদ্দিনকে আসামী করে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামী সলেমানকে ঐদিনই আটক করে হাইমচর থানা পুলিশ। বাকি আসামী রাজন, মহন ও আলাইদ্দন পালিয়ে যায়। ভারত সীমান্ত হিলি বন্দর থেকে হাইমচর থানা পুলিশ রাজন ও মহনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মহূর্তের মধ্যে বিষয়টি হাইমচরসহ পুরো জেলা এবং সারা দেশে সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠে। মোবারক হত্যা মামলার আসামীদেরকে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আটক করতে সক্ষম হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে হাইমচর থানা পুলিশের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।
আটককৃত আসামীদের নিয়ে প্রেসব্রিফিং করেন হাইমচর থানা পুলিশ। হাইমচরের বিভিন্ন অনলাই নিউজ পোর্টালে এ প্রেসব্রিফিংটি লাইভ দেখানো হয়। এসকল নিউজ ফোর্টাল পেজে অস্যখ্য লাইক, কমেন্টস, সেয়ার করা হয়। বেশিরভাগ মন্তব্যেই আসামীদের ফাঁসি দাবী করার পাশাপাশি হাইমচর থানা পুলিশ ও অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত ৯০% আসামীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। ন্যায় বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যেই আমরা প্রাথমিক ভাবে সর্বোচ্ছটুকু কাজ করে ফেলেছি। আমি আশা করবো হাইমচরের মানুষজন তাদের ধৈয্য সামাজিকতা, ন্যায় বিচার, মূল্যবোধ ব্যবহার করে এরকম অনাকাংখিত ঘটনা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবেন।তিনি বলেন, এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রত্যাশা করছিনা, সবাই মিলে মিশে সুন্দর সামাজিক সহঅবস্থানে থেকে আমাদের আইনআনুগ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি সকল মিডিয়া কর্মী ও হাইমচরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সকলকে ধন্যবাদ জানান