নিপুন জাকারিয়া-
আসন্ন মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রত্যাশায় , জনগনের ভালবাসা নিয়ে, মাঠে রয়েছেন, ত্যাগী নেতা, জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহির উদ্দিন তালুকদার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে, জনগনের পাশে থেকে অবহেলিত, মেষ্টা বাসীর সেবা করে যেতে চান, মহির উদ্দিন তালুকদার।
আসন্ন মেষ্টা ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে, দলীয় মনোনয়ন পেতে, তিনি ইতি মধ্যেই ব্যানার, ফেষ্টুন ও পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠকসহ গনসংযোগ করে, জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
ইউনিয়নের তৃনমুল নেতাকর্মীরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী এ নেতা, যদি চেয়ারম্যান হতে পারে, তাহলে তাদের বন্যা কবলিত অবহেলিত ইউনিয়নটি কিছুটা হলেও শান্তির সু-বাতাসে বইবে। রাস্তা-ঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে উন্নত হবে মেষ্টা। সাদা মনের এ মানুষটিকে এক বারের জন্য হলেও চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান, ইউনিয়ন বাসী।
জানা যায়- ১৯৭৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে, বাবার হাত ধরে, জয় বাংলা শ্লোগানে রাজপথে নামে এ নেতা। পরর্বতীতে ১৯৮৩-৮৪ সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে, ছাত্রলীগ কর্মি হয়ে, সাময়িক ও স্বৈরাশাসন এরশাদ বিরুধী আনন্দলনে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ৭৫ পরর্বতী সময়ে, মেষ্টা ইউনিয়নের প্রথম গঠিত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সাথে আওয়ামীলীগের সাথে রাজপথে থেকে নির্বাচনসহ সকল প্রচারনায় সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ১৯৮৮ সাথে মেষ্টা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে এরশাদ হটাও আন্দোলন, সংগ্রাম, মিছিল, হরতাল, অবরোধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ১৯৯৩ সাথে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। ১৯৯৭ সাথে সদর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের সম্মেলনে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে, অদ্যাবধি টানা দ্বীতিয় বারের মতো উক্ত পদে পুনরায় , সম্মানের সহিত অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৮৬ থেকে অদ্যাবধি জাতীয় কিংবা স্থানীয়, যেকোন নির্বাচনে দল প্রদত্ত প্রার্থীর পক্ষে, দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। ১৪/১২/২০১৯ সাল হইতে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ১ নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব, সততার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। তাছাড়া মেষ্টা ইউনিয়নের দলীয় ও সরকারী সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহন ও সামাজিক ভাবে, স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরার্মশ এবং অনুদান-সহয়তা প্রদান করেন। করোনা কালীন সময়ে নিজ তহবিলসহ বিভিন্ন জনের কাজ থেকে অর্থ নিয়ে দরিদ্র ও হত-দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেছেন সাধ্যমত। ত্রান সহয়তা প্রদান করেছেন বাড়ী বাড়ী গিয়ে।
মনোনয়ন বিষয়ে এক বক্তব্য তিনি নিপুন জাকারিয়াকে জানান- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে, সকল সংকটে পাশে থেকেছি। মৃত্যু পর্যন্ত নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করে কাজ করে যাবো। আসন্ন মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, আমি যদি নৌকা প্রতীকে, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি, তবে, ইউনিয়নে শিক্ষার মানোন্নয়ন, জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমন, দূর্নিতী, বাল্যবিয়ে বন্ধ করে, চুরি-আহাজানিমুক্ত নিরাপদ মেষ্টা ইউনিয়ন গড়ার মাধ্যমে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো ইনশাল্লাহ।