নিপুন জাকারিয়া:—
জামালপুর সদর উপজেলার গোড়াধাপ ইউনিয়নের গোপালপুর বাজার এলাকায় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মেলাটি জমে উঠেছে। বাংলা চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকে এ মেলাটি ইতিহাসের চির চলিত সাংস্কৃতিক ধারক হিসেবে এলাকা বাসীর মাঝে ঈদ ঈদ উৎসব নিয়ে আসে।
স্থানীয় এলাকাবাসী নিপুন জাকারিয়াকে জানান- এ মেলাটি আমাদের প্রাণের মিলন মেলা। সমাজের সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গরীব-ধনী একত্রিত্ব হয়ে, সকল এক হয়ে, প্রতি বছর এ মেলাটি উপভোগ করি আমরা। মেলাতে এলাকার সকল জামাতাদের দাওয়াত করা হয়। ঈদের ভিতর না আসলেও ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় আস-পাশের সকল গ্রামের জামাই তাদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এ মেলা উপলক্ষে বেড়াতে আসে। তৈরি হয় মানুষের মিলন মেলায়। মানুষে মানুষে মমত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। তাই এ মেলাকে ভালবাসার নিদর্শন বলা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হচ্ছে এবারের মেলা।
সরোজমিনে গেলে তারা আরো জানান- সমাজে যখন হিংসা, বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে, একে অন্যের প্রতি প্রতিহিংসা ভুগছে। মাদক ও জোয়ায় যুবকরা অন্যায়ের পথে পা দিচ্ছি। তখন এ মেলাটি আমাদের হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ঐতিহ্যবাহীকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মেলা সম্পর্কে স্থানীয় মুরুব্বিরা জানান- চৈত্র মাসের প্রথম এ মেলা শুরু হয় বিধায় অনেকে এটাকে চৈত্র মেলা বলে। বাংলাদেশ সকল মেলার চেয়ে এ মেলায় সর্বাধিক পরিমান জামাই আসে বলে এ মেলা জামাইদের কাছে জামাই মেলা। ইসলামী আদর্শের স্বরপ এ মেলায় কোন প্রকার হিংসা না থাকায়, এবং শুরু থেকে এ মেলায় জোয়া না বসার কারনে, কিছু মানুষ এটাকে ইসলামী মেলা বলে। কথিত রয়েছে, তৎকালিন হেন্দু জাঝক গোপাল শাহ্ সময়, যখন কৃত্তন করা হতো, তখন স্থানীয় কিছু মুসলিম এ মেলাটি শুরু করে। এবং যেখান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পুরো বছরের বাজার করতো তারা।
এই মেলাটিকে জামালপুরের সব চেয়ে বড় মেলা হিসেবে পরিচিত। দেশের প্রায় ২০ টির বেশি জেলার খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের পন্য সামগ্রী নিয়ে এ মেলাতে আসে, এবং সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা বার্নিজ্য পরিচালনা করে ফিরে যাই। করোনার কারণে গত বছর মেলা না বসলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নতুন রুপে মেলা বসেছে এবার।