আবু হেনা মোস্তফা কামাল::, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ২০ জন কিশোরকে আটক করা হয়। তাদেরকে থানায় রেখে অপরাধের রেকর্ড তল্লাশি করা হচ্ছিলো। এছাড়া, এলাকায় খোঁজ-খবর নেয়াসহ অভিভাবকদের খবর পাঠানো হয়। রাত ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অভিভাবক থানায় যাননি বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের নামে কোনো অপরাধের অভিযোগ না থাকলে ছেড়ে দেয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ হোসেন বলেছেন, আমরা কিশোর অপরাধ নিবৃত্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচ ঘটিকা থেকে রাত নয় ঘটিকা পর্যন্ত আমরা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বেইলি ব্রিজ এলাকায় অমি পার্ক, গাজীপুর ব্রীজ, ধানুয়া গ্রাম, ভাটিয়ালপুর, চরমথুরা, বটতলী, উত্তর কেরোয়া ও চরবসন্তসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিলাম। ওই সময়ে আটককৃতরা বিভিন্ন স্থানে এলোমেলো চলাফেরা করছিলো। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেনো এবং কোন উদ্দেশ্যে তারা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এতে অনেকেই সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়। আমরা শুনি ও তাদের ছেড়ে দেই। কিন্তু আটককৃত ২০ জন কিশোর কোনো প্রকার কারণ বা উদ্দেশ্য জানাতে ব্যর্থ হয়। আমরা তাদের প্রতি বারংবার প্রশ্ন করেও সন্তোষজনক কোনো উত্তর পাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে অীভযানের অংশ হিসেবে আমরা তাদের থানায় নিয়ে যাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০ টা ৩০ ঘটিকায়) তিনি জানিয়েছেন, আমরা এখনও খোঁজ নিচ্ছি। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক থানায় আসেননি। এক পশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা তাদের সঙ্গে অভিভাবক সুলভ আচরণসহ কথা বলেছি। কোনো প্রকার অপরাধ প্রবণা থেকে দূরে থাকার জন্য বুঝিয়েছি। তারা বলেছে, ভবিষ্যতে কোনো সন্দেহজনক গতিবিধিতে তারা থাকবে না। এছাড়া, থানায় পূর্বের অভিযোগ না থাকলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। আটককৃতদের মধ্যে শিক্ষার্থীও আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা আমাদের সন্তানের মতো। এ সময়ে তারা পড়ার টেবিলে খাবার কথা। অথচ, তারা অভিভাবকদের বিনা অনুমতিতে এবং অপ্রয়োজনীয় এলাকা ও স্থানে এলোমেলা ও বিক্ষিপ্ত ঘোরাফেরা করছে। তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে অভিভাবকদের জানাতে চাই যে, সন্তান এর প্রতি নজর ও পড়ার টেবিলে রাখুন। অসময়ে এবং অপ্রয়োজনে তারা যাতে এভাবে ঘোরাফেরা না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমন করে এলোমেলা চলাফেরায় আমাদের সন্তানরা একটা সময়ে ছোট-বড় অপরাধের সুযোগ পায় এবং জড়িয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো মেহেদী হাছান (১৭), আব্দুল মমিন (১৫), শুভ আহমেদ (১৭), মেহেদী হাছান (১৭), রাহাদ হাজী (১৫), সুজন (১৭), রনি (২০), তামিম (১৭), সাকিব পাটওয়ারি (২৩), জুয়েল (২১), মানিক (১৬), শরিফ (১৮) রাছেল (২২), আমান উল্লা (২০), কাউছার (১৭), রামিম (১৮), শাহাবউদ্দিন (১৭), সাকিব হোসেন(১৮), রিয়াদ (১৬) ও মিন্টু বেপারী (১৮)কে আটক করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে ইনস্পেক্টর (তদন্ত) বাহার মিয়া, এস.আই. আনোয়ার হোসেন, রুবেল ফরাজি, জামাল হোসেন, আ: রাজ্জাক, এ.এস.আই শুভ ভূষণ সিংহ প্রমুখ।