নিজস্ব প্রতিবেদক :–
আসন্ন জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সিব্বির আহাম্মেদ রাসেলের জামালপুর স্টেশন সংগ্লন বসত বাড়ীতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারী সন্ত্রসীরা তার মাকে পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অভিযোগ সূত্রে যানা যায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় রাসেলের বাড়ীতে এ হামলার ঘটনার ঘটে। হামলার আগে রাত ১০ ঘটিকার সময় তার বাড়ীতে গিয়ে, সাবেক কাউন্সিলর তরুন হাসান কাজলের নেতৃত্বে একদল লোক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, তখন রাসেলের মা তার প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদ করায়, তার মাকে বেদম ভাবে মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতা, তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগ দাখিলের খবর শুনে রাত ৩ ঘটিকার সময় তার বাড়ীতে হামলা চালায় এক দল সন্ত্রাসী। সে সময় তার বাড়ী-ঘরে হামলা করে, ভাংচুর করে। এবং পেট্রল দিয়ে, আগুন লাগিয়ে দেয় বলে, অভিযোগ সূত্রে যানা যায়। পরে ফারার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এবং জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, জামালপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফুলবাড়ীয়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে তরুন হাসান কাজলের নেতৃত্বে, ফেরদৌস হোসেনের ছেলে আলিমুজ্জামান, সামাদের ছেলে রাহাদ, আলহাজ আলীর ছেলে রহিম ও মিনহাজ, ইমন, কামরুল, আনিক, মাসুদসহ অর্ধ-শতাধিক লোক নিয়ে বাড়ীতে এ হামলা চালায়। আসন্ন পৌর নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতেই এবং কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে জনপ্রিয়তার ইশান্তিত হয়েও এ হামলা করেছে, বলে জানান নির্বাচিত পরিবার।
এ বিষয়ে রাসেল জানান- কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমত আমাকে প্রতিপক্ষের বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী সাবেক কাউন্সিল তরুন হাসান কাজনের চক্রান্তে হৃদযন্তের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া রুগীকে হাসপাতাল থেকে এনে আমার নামে মিথ্যা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যে সময় আমি জামালপুরেই ছিলাম না। মামলা থাকার কারনে, আমি জামালপুর থেকে অন্য স্থানে চলে গেলে, তারপর তারা আমার নামে একে একে ধর্ষন মামলাসহ আরো ৬ টি মামলা দায়ের করে।
যার সবগুলিই এজাহারে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
একে একে যখন রাসেলের নামে সবগুলি মামলা মিথ্যা বলে প্রমানিত হচ্ছে, ঠিক তখন তাকে নতুন রুপে ফাঁসিয়ে বিরুধী পক্ষ মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। হত্যা মামলা হওয়ার গত ৬ মাস সে এলাকায় আসেনি। পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনকর সামনে রেখে গত ২ ডিস্বেমর এলাকায় আসলে, তাকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্রেরর নতুন সূচনা শুরু হয়। যার জন্য তাকে না পেয়ে, তার মাকে লোহার রড় ও পাইব নিয়ে পিটানো হয় বলে জানান। এবং বাড়ীতে ব্যপক হারে, ইদ,পাটকেল নিক্ষেপ করে থাকে। এক সময় পেট্রল দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এখন পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সদর থানা পুলিশ কয়েক বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আপর দিকে অভিযুক্ত কাজনের মুটোফোনে কয়েক বার ফোন করলেও সে ফোন রিসিব করেনি।