টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে চার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী।
আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই চারজন নিহত হন বলে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আসাদুদ-জামান চৌধুরী সকালে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য, দুজন পুলিশের সঙ্গে এবং দুজন বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা হলেন টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা নজির আহমদ (৩০) ও গিয়াস উদ্দিন (৩০)।
তবে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজনের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দাবি করেছেন, ‘টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের নয়াপাড়ার বটতলী এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে নজির ও গিয়াসের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
ঘটনাস্থল থেকে ছয় হাজার ইয়াবা ও দুটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করছেন ওসি প্রদীপ কুমার। বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি প্রদীপ কুমার আরো জানান, নিহত চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর মাদক চোরাচালানের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর জেলায় প্রায় প্রতিদিনই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন মাদক কারবারিদের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এ সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শুধু কক্সবাজারেই ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলাতেই নিহতের সংখ্যা ৩৯ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন টেকনাফের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। রয়েছেন দুজন জনপ্রতিনিধিও।