তাসলিমা ইসলামঃ
ইসলামী বিশ্বকোষ বলছে: সালাতের ইমামত একটি বৃত্তি বা পেশা নহে, সর্বক্ষেত্রে ইহা যোগ্যতার মানদণ্ডও নহে। তিনি যতক্ষণ সালাত পরিচালনায় নিয়োজিত থাকেন কেবল ততক্ষণই ইমাম থাকেন। আদি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রত্যেক এলাকার উল্লেখযোগ্য শহরের জামে মসজিদে ইমামতের কর্তব্য পালন করিতেন খলিফার প্রতিনিধি (ওয়ালি) ও তাঁহাদের প্রতিনিধিগণ (নায়েব) এবং কেন্দ্রে স্বয়ং খলিফা। (প্রথম খণ্ড, পৃ: ১৮০)
.
অর্থাৎ নামাজের ইমাম আর সমাজের ইমাম আলাদা নয়। ফকীহরা এমনও বলেছেন যে, নামাজের ইমামতি করতে অক্ষম ব্যক্তি খলিফা পদেরও যোগ্য থাকেন না। কিন্তু মুসল্লিদের দয়ার দানে বেতনপ্রাপ্ত একজন ইমাম মসজিদে থাকবেন সমাজে যার সামান্যও কর্তৃত্ব থাকবে না এমন ব্যবস্থা ইসলামে ছিল না- এটা ঐতিহাসিক সত্য। সুতরাং এটি দীনের মধ্যে সংযোজন।
.
এর কারণে সমস্যা হয়েছে ১০/১৫ মিনিটের নামাজের সময়টুকুর পরে রাষ্ট্র ও সমাজের কোনো কাজে ইমামদের কোনো ভূমিকা থাকছে না। এই সরল সত্যটি ইসলামেরই স্বার্থে হেযবুত তওহীদ বলার চেষ্টা করছে, কিন্তু একে অনেকেই ভুল বুঝছেন। আমরা চাই ইমামদের প্রকৃত মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হোক।