ষ্টাফরিপোর্টারঃ
কচুয়া পৌরসভার ইজারা সিডিউল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার হাট-বাজার ও অন্যান্য দরপত্র ফরম বিক্রয় ও দরপত্র গ্রহনের সময়সূচীতে নিজ মনগড়া মতো পছন্দের লোককে পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র নাজমূল আলম স্বপনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিডিউল ক্রয়ে অংশ গ্রহন করতে না পারা কচুয়া পৌরসভাধীন কোয়া-চাঁদপুর গ্রামের অধিবাসী মো. খোরশেদ আলম বাদী হয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজের নিকট পুনরায় ট্রেন্ডার দেয়ার দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া পৌর সভার অধীনে কচুয়া হাট- বাজার, বাস ঘাট, ট্রাক ঘাটসহ ১৩টি বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় দুটি পত্রিকায় তফসিলে বিজ্ঞপ্তি দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই সিডিউল প্রথম ধাপে ২৭ ফেব্রুয়ারী পৌর কর্তৃপক্ষ নিজ মনগড়া ভাবে নিজেদের পছন্দের লোকদিয়ে ট্রেন্ডার ড্র-করছেন এবং সরকারী ভাবে যে সকল প্রতিষ্ঠানে সিডিউলের দরপত্র দেয়ার বিধান, সেখানে নামে মাত্র ১৩টি গ্রুপের প্রতিটি গ্রুপের দু-একটি সিডিউল দিয়ে এ টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ লুকোচুরি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঠিকাদারী ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহন করতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ জানান, অভিযোগকারী খোরশেদ আলম কচুয়া বাজার, কচুয়া-ডুমুরিয়া-সিএনজি ও পল্লী বাইক ঘাট এবং কচুয়া- গুলবাহার ও কাশিমপুর সড়কের পল্লী বাইক ঘাট এর সিডিউল চেয়েছিলেন। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রতিটি গ্রুপের ২/৩টি করে ইজারা বিক্রি করার ফরম দেয়ায় তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় আমি ইজারায় অংশগ্রহন কারীদের কাছে তা বিক্রি করতে পারিনি।
মেয়র নাজমুল অলম স্বপন জানান, কেউ অভিযোগ দিলে আপনারা অফিসে আসুন, কখন পেপার বিজ্ঞপ্তিসহ সিডিউল বিক্র হয়েছে তা সত্য মিথ্যা যাচাই করুন। আমার অফিসের কেউ অনিয়ম করলেও দেখুন,আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
অপরদিকে সিডিউল বিক্রিতে অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পৌর সচিব মো. জহিরুল হক সর্দার বলেন, পৌর সভার সিডিউল বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহকারী হিসাব রক্ষক মো. ইমাম হোসেন খান পিন্টু সিডিউল স্বল্পতার কথা জানাননি এবং সিডিউল ক্রয় করতে এসে কেউ পাননি তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।