ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুই গ্রæপের সংর্ঘষের কারণে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা সভা পÐ হয়ে গেছে। উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় পুলিশসহ অন্তত প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিষদের অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউÐ টিআরসেল নিক্ষেপ করে। তবে পরিস্থিতি এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাউকেই পুলিশ আটক করেনি এবং এব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
জানা গেছে, বৃহষ্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ সফিকুর রহমান সভায় উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত হওয়ার পুর্বে তার অনুসারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে। একপর্যায়ে এমপি উপজেলা পরিষদের উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়। প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী সংর্ঘষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে উপজেলা পরিষদের আইনশৃংখলা সভা শুরু হলে পুন:রায় ঊভয় গ্রæপের মধ্যে আবারো সংর্ঘষ বেঁেধ যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহŸায়ক আকবর হোসেন মনির, ছাত্রলীগ নেতা জয়, হাবিব, কাশেম, রিয়াদ, হাসান, সাহেদ সুজন, নাছির, কাইয়ুম এবং এমপির অনুসারী পুতুল সরকার, আলাউদ্দিন, আলআমিন, রায়হান, মোহন মিজি, সৈকত, মিঠুন, নুর আলআমিন, সাগরসহ অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্রণে আনতে পুলিশ এক পর্যায়ে ৬ রাউÐ টিআরসেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউএনও সভা স্থগিত করে দেন।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, উভয় পক্ষ শান্ত করতে পুুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ ৬ রাউÐ টিআরসেল নিক্ষেপ করে। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃতে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে পুরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির কারণে মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা সভা স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃংখলা কমিটির সদস্য না এমন লোক এবং মাদককারবারী পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান জানান, আমি আইনশৃংখলা ও সমন্বয় সভার নিমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউএনও!র কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সাথে রুঢ় আচরণ করেছে। তার অনুমতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসার জন্য বলেছে সে।